একদা জল, জঙ্গল, মাটির রাজ্যে প্রকৃতির কড়া শাসন উপেক্ষা করেও বুদ্ধিজীবী একদল মানুষের আন্তরিক উদ্যোগ আর শুভবুদ্ধি সম্পন্ন আবাসিকবৃন্দের সহযোগিতায় গড়ে তোলা স্বপ্ন-সুন্দর ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তেঁতুলিয়া উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়।
১৮৯৩ সাল । অবিভক্ত বাংলার সম্মুখে তখন অগণিত সমস্যার মাইল ফলক । দেশ-জাতি পরাধীনতার অক্টোপাশে আবদ্ধ । এই কঠিন সময়ে আত্মপ্রকাশ করে শতাব্দী প্রাচীন এই বিদ্যামন্দির । রুপে, গুনে সেদিন সাধারন হলেও সকলের আন্তরিক প্রচেষ্টায় আজ সে তিলে তিলে তিলোত্তমা ।
অন্তরে-বাহিরে, শিক্ষা-সংস্কৃতিতে, ক্রীড়া-সমাজসেবায় সকলের অমোঘ আকর্ষণে পরিপূর্ণ এই বিদ্যালয় । বিদ্যালয়ের কোমলমতি ছাত্র/ছাত্রী লেখাপড়া, সাংস্কৃতিক চর্চা আর খেলাধূলায় সমষ্টি মহকুমা ছাড়িয়ে রাজ্যস্তরে কৃতিত্বের শিখরে পৌঁছে বিদ্যালয়ের ঐতিহ্য বজায় রেখে চলেছে। এ অলংকারের অহংকার বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা, শিক্ষাকর্মী, পরিচালন সমিতি এবং দায়িত্ববান অভিভাবক/অভিভাবিকা সকলের ।
পরিণত বীক্ষনাগার, সু-সজ্জিত অফিস ঘর, কম্পিউটার ঘর, গ্রন্থাগার এবং উপযুক্ত আলো – বাতাস ব্যবস্থাসহ প্রতিটি শ্রেণিকক্ষ আর অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত নিয়মিত মিড্-ডে-মিল পরিষেবা বিশেষ মাত্রাযোগ করে। বেলুড় রামকৃষ্ণ মিশন পরিচালিত ইন্টারনেটের মাধ্যমে দূরশিক্ষার সাফল্যে আমরা গর্বিত । জাতীয় সমর শিক্ষা বাহিনীর (N.C.C.) কুচ্কাওয়াজ দেশাত্মবোধে উদ্বুদ্ধ করে চলেছে।
স্রষ্টা চলে গেলেও থেকে যায় সৃষ্টি। সেই সৃষ্টির পরিপ্রেক্ষিতে, অনুপ্রেরণা শিক্ষাধারা আমরা প্রতিনিয়ত শ্রদ্ধায় স্মরণ করি।
ঐতিহ্যবাহী এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে আসুন এক মনে এক প্রাণে আমরা এগিয়ে চলি, আমাদের মন্ত্র হোক ঐক্য, শিক্ষা, প্রগতি।