সম্পাদকের কলমে
(বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অভিভাবক/অভিভাবিকাদের জ্ঞাতব্য দু-চার কথা)
কৃষ্ণপুর রিফিউজি কলোনি (অধুনা দমদম পার্ক) এলাকাস্থিত তদানীন্তন বিদ্যোৎসাহী ও শিক্ষানুরাগী গুণীজনদের সাধ ও সাধ্যের মেলবন্ধনে ১৯৫৪ সালের ২রা জানুয়ারি যে শিক্ষাঙ্গণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হয়েছিল, সময়ের সরনি বেয়ে তিলে তিলে আজ সে তিলোত্তমা ‘কৃষ্ণপুর আদর্শ বিদ্যামন্দির”। প্রতিনিয়ত ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলা ইংরেজি মাধ্যম বিদ্যালয়গুলির সাথে অসম প্রতিযোগিতায় আজ ও সে স্বমহিমায় বিরাজমান। ফি বছর প্রায় দ্বি-সহস্র শিক্ষার্থীর পঠন-পাঠনের নীরব সাক্ষী হয়ে আছে তার প্রতিটি শ্রেণিকক্ষ ও সহ পাঠক্রমিক শিক্ষায় অগ্রনী ভূমিকা পালন করে চলেছে সবুজে মোড়া সুবিশাল ক্রীড়াঙ্গন। প্রকৃত মানুষ গড়ার স্বপ্নে সে যে বিভোর, লক্ষ্যে অচঞ্চল ও দায়িত্বে অবিচল - দেশে বিদেশে শিক্ষার্থীদের সুপ্রতিষ্ঠিত হওয়ার মধ্যে তা প্রতিভাত হয়। অতীতের গর্ভেই ভবিষ্যতের জন্ম। তাই বর্তমান শিক্ষার্থী ও অভিভাবক / অভিভাবিকাদের প্রতি আমার সকাতর আহ্বান – বিদ্যালয়ের বর্ণময় অতীতকে পাথেয় করে এক গৌরবোজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ার লক্ষ্যে আমরা যেন ব্রতী হই, বিদ্যালয়ের সুনাম ও সমৃদ্ধ ঐতিহ্যকে অক্ষুণ্ণ রাখতে আমরা যেন অঙ্গীকারবদ্ধ হই। সশ্রদ্ধচিত্তে ... তাঁরি সৌজন্যে বিদ্যালয়টি হয়ে উঠুক প্রতিটি শিক্ষার্থীর অহঙ্কার এবং তার চিন্তনে, মননে প্রতিফলিত হোক নীতি, আদর্শ ও কর্তব্যবোধ .... এই আশা রাখি।
ড. সুশান্ত কুমার খাঁন
সম্পাদক ও প্রধান শিক্ষক কৃষ্ণপুর আদর্শ বিদ্যামন্দির