সতেরো আঠারো বছর পূর্ব্বে এই খানপুর গ্রামে বাঙালীরই বাসস্থান ছিল। ইতিমধ্যে বিদেশীরা এসে ঘোড়াদৌড়ের মাঠ, ক্লাব ইত্যাদির উদ্দেশ্যে এ স্থান হইতে গ্রামবাসীদিগকে নির্বাসিত করে। গত কয়েক বৎসর হইতে পুনর্বার এই গ্রামের কতকাংশ বাঙালীর অধিকারভুক্ত হইয়াছে। সুতরাং গ্রামটিকে আবার বাসোপযোগী করা প্রয়োজন।
ছেলে মেয়েদের শিক্ষা মানব সমাজের পক্ষে যে কত প্রয়োজনীয় তাহা বলা বাহুল্য। গ্রামস্থ লোকের ছেলে মেয়েদের লেখা পড়া শিখাইবার জন্য উহাদিগকে সুদূর কালীঘাট অঞ্চলে অথবা গড়িয়া গ্রামে পাঠাইবার ব্যবস্থা করতে করতে হয়, ইহা অত্যন্ত অসুবিধাজনক ও অবাঞ্ছনীয় তাই আজ এই ক্ষুদ্র পাঠশালাটির উদ্বোধন হইল। এই পাঠশালাটি প্রয়োজনবোধে জন্মগ্রহণ করিল সুতরাং ইহার এই জন্মতিথিতে বহু সমারোহর প্রয়োজন হয় নাই, ওই শিশু পাঠশালার বর্তমান ছাত্র ও ছাত্রী সংখ্যা মাত্র ৭/৮ হইবে। সুতরাং ইহার ভবিষ্যৎ কার্যাবলী আমাদের নিকট এখন পর্যন্ত সম্পূর্ণ অজ্ঞাত। ইহার কার্যাবলীর জন্য আপাতত কোন নিয়মাদি করা হয় নাই এবং হওয়া সম্ভব নয়। গ্রাম-বাসীগণের প্রয়োজন অনুসারেই এই পাঠশালাটি গঠিত হইয়া উঠিবে। পাঠশালাটি নিতান্ত ক্ষুদ্র ও অনারম্বরভাবে জন্মগ্রহণ করিল। কিন্তু বীজ ক্ষুদ্র হইলেও উহা হইতে যেমন মহা মহীরূপের উদ্ভব হওয়া সম্ভব, আমারা আশা করি ভগবৎ কৃপা ও গ্রামবাসীগণের সাহায্য বলে এই নব অঙ্কুরিত পাঠশালাটিও একদিন বটবৃক্ষের আকার ধারণ করিয়া বহু কল্যাণময় হইয়া উঠিবে। অদ্যকার এই শুভ জন্মতিথি দিনে আমরা ভগবানের আশীর্বাদ ও গ্রামবাসীগণের সাহায্য ও সহানুভূতি প্রার্থনা করি।
খানপুর, বাঁশদ্রোণী রোড
টালিগঞ্জ।