শিশুগণ প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ করে থাকে পরিবারে-পিতামাতার কোমল সাহচর্যে। প্রথমতঃ পিতামাতার আচার-আচরণ, কথা-বার্তা, জীবনধারন প্রণালী, রীতিনীতি, নৈতিকতা ইত্যাদি শিশুদের ভবিষ্যৎ জীবনের নির্ণায়ক। শিশুর প্রথম ও প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকা হলেন ওর পিতামাতা; আর পরিবার হল শিশুদের প্রথম বিদ্যালয়। বিদ্যালয়ে ক্রমশঃ শিশুদের ব্যক্তিত্বের বিকাশ ঘটতে থাকে। বিদ্যালয় হল জ্ঞানার্জনের পবিত্র মন্দির। এই মন্দিরের সুনাম ও পবিত্রতা রক্ষার দায়-দায়িত্ব-কর্তব্য সকলেরই।
মোহনপুর হাইস্কুলের বাস্তব পরিকাঠামো ও শিক্ষার গুণগত মান সকলের নজর কাড়ছে। বিগত মাধ্যমিক ও উচ্চ-মাধ্যমিক পরীক্ষাগুলির ফলাফল আমাদের পাঠদান কার্য ও শিক্ষাপদ্ধতির উৎকর্ষতার প্রমাণ। উচ্চ-মাধ্যমিক স্তরে এখানে কলা, বিজ্ঞান ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা চালু আছে। বিদ্যালয়ে প্রতিবছর সাংস্কৃতিক প্রতিযোগীতা, ক্রীড়া প্রতিযোগীতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং শিক্ষামূলক ভ্রমণ হয়ে থাকে। এই কর্মসূচীগুলিতে যাতে বেশি সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রী অংশগ্রহণ করে সেজন্য অভিভাবকদেরও নজর দিতে অনুরোধ জানাই। শিক্ষাক্ষেত্রে ছাত্রছাত্রীদের সর্বাঙ্গীণ উন্নতির জন্যে এই বিদ্যালয়ের পরিচালন কর্তৃপক্ষ , সুদক্ষ শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীগণ নিরলস, অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন। এই ঐতিহ্যমন্ডিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্রমাগত বৃদ্ধি করার জন্যে আসুন আমরা সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকা-শিক্ষাকর্মী, পরিচালন সমিতির কর্মকর্তাগণ ও অভিভাবক্কূল একযোগে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দৃড় অঙ্গীকার গ্রহণ করি যাতে মন্দিরসম এই বিদ্যালয় সমস্ত ছাত্র-ছাত্রী সহ আমাদের সবার কাছে এক আনন্দ ক্ষেত্রে পরিণত হয়।