History

ডুয়ার্স এলাকার আলিপুরদুয়ার জেলার কুমারগ্রাম ব্লকের একটি

ছোট্ট জনপদ এই বারবিশা । নানান জাতি, ধর্ম, বর্ণ, ভাষা ও জীবিকার মানুষের সম্মিলিত সহাবস্থানে এই গ্রাম, বিচিত্রের মধ্যে ঐক্যের সুরে আজ বধিষ্ণু একটি গ্রামে পরিনত হয়েছে । আজ থেকে প্রায় ৫০ বছর আগে অর্থাৎ ১৯৭২ সালে এলাকাটি ছিল গভীর জঙ্গলে ঘেরা এবং দুর্গম । রাস্তাঘাট বলতে ছিল বারবিশা-র বুক চিরে অসমের দিকে যাওয়া ৩১নং জাতীয় সড়ক, জোড়াই রেল ষ্টেশন থেকে কুমারগ্রাম থানা ও চা বাগানের দিকে যাওয়া রাজ্য সড়ক । মুলত জোড়াই রেল ষ্টেশনের ওপর নির্ভর করেই এলাকার লোকেরা  মহকুমা শহর আলিপুরদুয়ার এবং অন্যত্র যাতায়াত করত । ১৯৫১ সালে কতিপয় শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিবর্গের সহায়তায় গড়ে ওঠে ‘বারবিশা হাই স্কুল” । তৎকালীন সময়ে এই এলাকার মেয়েরাও বারবিশা হাই স্কুল-এ লেখাপড়া করত । পরবত্তীতে ছাত্রী সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং মেয়েদের শিক্ষা প্রসারের জন্য প্রয়োজন হয়ে ওঠে একটি বালিকা বিদ্যালয় স্থাপনের । ১৯৭২ সালে সরকারী নির্দেশে বারবিশা হাই স্কুলেই প্রাতঃ বিভাগে সুধুমাত্র ছাত্রীদের নিয়ে ‘বারবিশা বালিকা বিদ্যালয়” নাম দিয়ে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পঠন-পাঠনের সূচনা হয় । ১৯৭৪ সালে এই বিদ্যালয় সরকারী অনুমোদন পায় এবং অর্গানাইজিং কমিটির মাধ্যমে এই বিদ্যালয় পরিচালিত হতে থাকে । ১৯৮০-৮১ শিক্ষাবর্ষে ৩১নং জাতীয় সড়কের দক্ষিণ পাশে দক্ষিণ রামপুর গ্রামে বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী স্বর্গীয় রমণী মোহন রায় মহাশয়ের দান করা জমির উপর ‘বারবিশা বালিকা বিদ্যালয়” স্থায়ী ভাবে স্থানান্তরিত হয় এবং নির্বাচনের মাধ্যমে বিদ্যালয়ের স্থায়ী পরিচালন কমিটি গঠিত হয় । তাদের প্রচেষ্টায় কুমারগ্রাম বন বিভাগের একটি বাংলো নিলামে ক্র্য় করে সেই কাঠ দিয়ে প্রথম বিদ্যালয় ভবন তৈরি হয় । যার বর্তমান রূপ আজকের এই বিদ্যালয় ভবন ।