পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর বিদ্যালয়-নির্ধারিত দিনে প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীকে সেশন-ফি এবং অন্যান্য বাৎসরিক দেয় অর্থ এককালীন জমা দিতে হয়।
ছাত্র বা ছাত্রী স্কুল পরিবর্তন প্রয়োজন হলে ট্রান্সফার সার্টিফিকেট (T.C.) নেবার আগে সংশ্লিষ্ট ছাত্রের অভিভাবককে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছে দরখাস্ত দিয়ে জানাতে হবে।
ফল ঘোষণার পর ভুল সংশাধন করা ছাড়া অন্য কোন অবস্থায় পুনর্বিবেচনা করা হয় না। বিদ্যালয়ে ভর্তির সময় উপযুক্ত প্রমাণ পত্রের সাহায্যে শিক্ষার্থীর যথাযথ বয়স জমা দিতে হয়, পরে কোনক্রমে তার পরিবর্তন হয় না। এ ব্যাপারে যথোপযুক্ত নিয়ম অনুসরনীয়। বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকলে তার কারণ দেখিয়ে অভিভাবকের স্বাক্ষর সম্বলিত ডায়েরির নির্দিষ্ট পৃষ্ঠাটি শ্রেণি শিক্ষক/শিক্ষিকার কাজে জমা দিয়ে শ্রেণিতে প্রবেশের অনুমতি নিতে হবে (পুনরাগমনের দিনে)।
অনিবার্য কারণে কোন ছাত্র/ছাত্রী দীর্ঘকাল বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকলে মেডিকেল সার্টিফিকেট সমেত দরখাস্ত দিয়ে যথাসময়ে প্রধান শিক্ষককে জানাতে হবে।
পর্ষদ ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের নির্দেশ অনুসারে প্রত্যেক ছাত্র/ছাত্রীর ৭০% উপস্থিতি আবশ্যিক।
থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পঞ্চম পর্বে প্রয়োজনে পুনরায় উপস্থিতি নেওয়া হবে।
উপস্থিত হবার পর সাধারণভাবে সে দিনের জন্য কোন ছুটির আবেদন গৃহীত হয় না, তবে বিশেষ কারণে একমাত্র অভিভাবকের আবেদন ক্রমে, কর্তৃপক্ষ প্রয়োজন মনে করলে ছুটি দিতে পারেন। বিদ্যালয় চলাকালীন সময়ে একমাত্র অভিভাবক ছাড়া বাইরের অন্য কারোর সাথে ছাত্র-ছাত্রীদের দেখা করা নিষেধ। অভিভাবক এলে প্রধান শিক্ষকের অনুমতিক্রমে দেখা করা যেতে পারে।
নোটিশে ৩ (তিন) মাস অনুপস্থিতির জন্য সংশ্লিষ্ট ছাত্র-ছাত্রীর অভিভাবককে উপযুক্ত কারণ দেখিয়ে তার পুত্র বা কন্যা তার নিজের শ্রেণিতে সেই শিক্ষাবর্ষে পাঠগ্রহণ করতে পারবে কিনা সে বিষয়ে কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে।
ছাত্র/ছাত্রীকে বাড়ি থেকে টিফিন ও জলের পাত্র নিয়ে বিদ্যালয়ে আসতে হবে, বিরতির সময় বিদ্যালয়েই জলযোগ করতে হবে। বিদ্যালয় ছুটির আগে কোন ছাত্র/ছাত্রীকে জলযোগ করতে বাড়ি যেতে দেওয়া হয় না।
শ্রেণি কক্ষে বিদ্যালয়ের সম্পত্তির ক্ষতি হলে, ঐ শ্রেণির সকল ছাত্র-ছাত্রী সেই ক্ষতি পূরণ করতে বাধ্য থাকবে। এক্ষেত্রে একজন অন্যজনকে দোষী করে নিজে নির্দোষ থাকতে পারবে না।
ও দ্বাদশ শ্রেণিতে প্রথম ও পঞ্চম পর্বে উপস্থিতি নেওয়া হয়, প্রয়োজনে প্রতিটি পর্বে উপস্থিতি নেওয়া হবে।
— ছাত্র-ছাত্রীদের অবশ্যই পালনীয় —
ছাত্র-ছাত্রীকে প্রত্যেক দিন বিদ্যালয়ের নির্দিষ্ট পোশাক পরে আসতে হবে।
থেকে দ্বাদশ শ্রেণির প্রত্যেক ছাত্রীকে নিয়মিত দুটি চুল বেঁধে বিদ্যালয়ে আসতে হবে। চুলে সাদা ফিতা ব্যবহার করতে হবে। হাতে-পায়ে, গলায় কোন অলংকার পড়া চলবে না।
পঠন-পাঠন শুরু হবার ১৫ মিনিট আগে বিদ্যালয়ে এসে নিজের নিজের শ্রেণিতে সুশৃঙ্খলভাবে বসতে হবে, নির্ধারিত প্রার্থনা সংগীতে অংশ নিতে হবে।
কক্ষে বইপত্র রেখে কোন ছাত্র/ছাত্রীর বিদ্যালয়ের বাইরে যাওয়া চলবে না।
কাজ চলাকালে শ্রেণি শিক্ষক/শিক্ষিকা/অথবা শ্রেণি মনিটরের অনুমতি ছাড়া ছাত্র-ছাত্রীদের শ্রেণিকক্ষের বাইরে যাওয়া নিষিদ্ধ।
শ্রেণিতে দুজন করে মনিটর থাকবে। প্রত্যেক ছাত্র/ছাত্রীকে তাদের নির্দেশ মেনে চলতে হবে।
প্রয়োজনে কেবলমাত্র মনিটর শ্রেণি শিক্ষক/শিক্ষিকার সঙ্গে দেখা করতে পারবে।
ছাত্র/ছাত্রী বিদ্যালয় আসার পর হঠাৎ অসুস্থ হয়ে না পড়লে বিদ্যালয় ত্যাগ করার অনুমতি পাবে না।
চলাকালে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া বিদ্যালয় ত্যাগ করা অপরাধ, এক্ষেত্রে জবাবদিহি করবে হবে। বিদ্যালয়ের সমস্ত অনুষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক, প্রতিটি অনুষ্ঠান বিদ্যালয়ের কৃত্যালির অন্তর্ভূক্ত।
বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ অন্যান্য সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ছাত্র/ছাত্রীদের অংশগ্রহণ বাঞ্ছনীয়।
আয়োজিত বার্ষিক ক্রীড়ানুষ্ঠানে প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীর অংশ গ্রহণ করা আবশ্যিক।
-ছাত্রী কোন কারণে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত হলে, বিদ্যালয়ের ডায়েরিসহ নির্দিষ্ট স্থানে অভিভাবকের স্বাক্ষর সহ কারণ বিবৃতি করে শ্রেণি শিক্ষক/শিক্ষিকাকে দেখানো বাধ্যতামূলক।
ছাত্র/ছাত্রীকে প্রতিদিন বিদ্যালয়ের পাঠ অনুযায়ী বইপত্র এবং বিদ্যালয় ডায়েরি আনতে হবে এবং বাড়ির কাজ ও পাঠ নিয়মিত প্রস্তুত করে আসতে হবে।
বিদ্যালয় পরিচ্ছন্ন রাখা ছাত্র/ছাত্রীদের অবশ্য কর্তব্য। যেখানে সেখানে ছেঁড়া কাগজ খাবারের মোড়ক বা আবর্জনা না ফেলে আবর্জনা ফেলার নির্দিষ্ট পাত্রে ফেলতে হবে। দেওয়ালে, টেবিলে, বেঞ্চে বা বোর্ডে, কোন আঁকজোক করা কিম্বা খারাপ কিছু লেখা অমার্জনীয় অপরাধ।
ছাত্রীদের সর্বতোভাবে সুশৃঙ্খল, শিষ্টাচারী, মিতভাষী এবং বিনয়-নম্র হতে হবে। সহপাঠী ছাত্র-ছাত্রীর সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ ব্যবহার করতে হবে। ছাত্রীরা অলংকার ছাড়াই বিদ্যালয়ে আসবে, পঞ্চম থেকে দ্বাদশ পর্যন্ত সমস্ত শ্রেণির ছাত্রীদের চুলের দুটি বিনুনী বাঁধতে হবে এবং সাদা ফিতা ব্যবহার করতে হবে, প্রসাধন ব্যবহার মার্জিত হবে।
মোবাইল ফোন নিয়ে আসা অপরাধ, এক্ষেত্রে ফোন বাজেয়াপ্ত হবে। একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীরা শ্রেণিকক্ষে তাদের জন্য নির্দিষ্ট আলাদা আসনেই বসবে। সহপাঠ মূলক শ্রেণিকক্ষের পরিপন্থি কোন আচরণ করা যাবে না।