History

 

১৯৬৪ - ২০১৯ সুবর্ণজয়ন্তী বর্ষ অতিক্রান্ত স্কুলটির বিশেষত্ব

 
 

অবশেষে ধূলাগড়ি গ্রামের একমাত্র হাইস্কুল ধূলাগড়ি আদর্শ বিদ্যালয় উচ্চমাধ্যমিক স্তরে

উন্নীত হল। এ এক চমকপ্রদ পদক্ষেপ। এর জন্য গ্রামের মানুষকে অকুন্ঠ ধন্যবাদ।

 

ধূলাগড়ির মানুষের অদম্য সহযোগিতায় আজ বিদ্যালয় শুধু উচ্চমাধ্যমিকই নয়, নবসাজে

সজ্জিত ও নির্মল বিদ্যালয় পুরস্কার প্রাপ্ত। ১৯৬৪ সাল থেকে দীর্ঘ ৫৫ বছর ধরে এই

সুবিশাল অঞ্চলটিতে একমাত্র হাইস্কুল হিসাবে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে আমাদের স্কুল।

 

ধূলাগড়ির পরিবেশ বেশ মনোরম। চারপাশে কত গাছপালা, পশুপাখি। তাই যে

   

পরিবেশে আজকের শিশুরা বেড়ে উঠছে সেই পরিবেশই হয়ে উঠুক তার জীবনের পাঠ।

ধূলাগড়ি আদর্শ বিদ্যালয় সেই ১৯৬৪ সাল থেকে ভবিষ্যৎ নাগরিক নির্মাণে দায়বদ্ধ।

তৎকালীন "সরকার" পরিবারের সদিচ্ছায় ধূলাগড়ি গ্রামে যে ছোট্ট বিদ্যালয় গড়ে

   

উঠেছিল আজ তা মহীরুহে পরিণত হয়েছে। প্রতি বছর অগণিত ছাত্রছাত্রী সুশিক্ষায়

 

শিক্ষিত হয়ে গ্রামীণ উন্নতিতে অংশগ্রহণ করছে। আগামী দিন তাই সকল প্রাক্তন

   

ছাত্রছাত্রীর হার্দিক শুভকামনা প্রত্যাশা করে বিদ্যালয়। সকল গ্রামীণ মানুষের অংশগ্রহণে

এই বিদ্যালয়ের আরও শ্রীবৃদ্ধি ঘটবে এই আশা রাখি। এই বিদ্যালয় হল ধূলাগড়ির

 

সবেধন নীলমণি। বিশ্বমাঝারে পরিচয়ের একমাত্র অবলম্বন। আজ এই বিদ্যালয়ের

   

পরিচিতি গ্রাম ছেড়ে, জেলা ছেড়ে বিশ্বব্যাপী। পড়াশোনার পাশাপাশি ছাত্রছাত্রীদের

 

নানা সৃষ্টিশীল কাজের নিদর্শনে অসংখ্য মানুষ গুণমুগ্ধ।

                       
 

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর শিক্ষাসমস্যা নামের নিবন্ধে লিখেছেন - ইস্কুল বলতে আমরা

যাহা বুঝি সে একটা শিক্ষা দিবার কল। মাস্টার সেই কারখানার অংশ। সাড়ে দশটায়

ঘন্টা বাজাইয়া কারখানা খোলে। কল চলিতে আরম্ভ হয়, মাস্টারেরও মুখ চলিতে থাকে।

চারটের সময় কারখানা বন্ধ হয়, মাস্টার-কলও তখন মুখ বন্ধ করেন; ছাত্ররা দু-চার

পাতা কলে ছাঁটা বিদ্যা লইয়া বাড়ি ফেরে। তারপর পরীক্ষার সময় এই বিদ্যার যাচাই

হইয়া তাহার উপরে মার্কা পড়ে।

                                       
 

ধূলাগড়ি আদর্শ বিদ্যালয় সৃজনশীল ছাত্রছাত্রী তৈরি করতে ঐকান্তিকভাবে বদ্ধপরিকর।

স্বামী বিবেকানন্দের আদর্শে অনুপ্রাণিত ধূলাগড়ি আদর্শ বিদ্যালয় এমন শিক্ষালয় হিসাবে

নিজেকে তুলে ধরতে চায় যেখানে আমরা নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে পারি, যাতে আমরা

উপযুক্ত মানুষ হয়ে আমাদের কর্তব্য সম্বন্ধে সচেতন হতে পারি, যাতে আমরা আমাদের

কর্তব্য যথাযথভাবে পালন করতে পারি। স্থানীয় সকল মানুষের সাহায্যে এরকম উপযুক্ত

শিক্ষালয় হয়ে উঠুক ধূলাগড়ি আদর্শ বিদ্যালয়।

শ্রীযুক্ত দেবাশীষ মন্ডল